ক্ষমতা আর ভালোবাসা কি এক জিনিস??
আমরা অনেকে ভেবে থাকি ক্ষমতা আর ভালোবাসা এক, আসলে বিষয়টা এমন না ক্ষমতা যখন মানুষ পায় তখন অনেকভাবে সেটাকে ব্যবহার করে, অনেকে হয়তো সেটাকে ভালো কাজে লাগায় অনেকে বা তার মনগড়া কিছু ভেবে সেটা কে ব্যবহার করে,,
ক্ষমতাবান মানুষকে সবাই ভয় পায়, কিন্তু মন থেকে তার প্রতি শ্রদ্ধা বা সম্মান কোনটাই করে না, তার প্রতি থাকে এক ধরনের ঘৃণা, যদিও সে ঘৃণাটা একদিনে জন্মায় না ধাপে ধাপে জন্মায়, হয়তো প্রথম প্রথম তার কোন কাজ ভালো না লাগা থেকে শুরু হয়, বা তার উপরে কখনো কোন জুলুম হয় কেমন বিষয় থেকে শুরু হয়, আর আপনি একটা জিনিস খেয়াল করলে দেখবেন যে যখন আপনার কারো কোন কিছু ভালো না লাগে বা তার সম্পর্কে আপনি খারাপ ধারণা করেন, ঠিক তখন থেকেই দেখবেন আপনার সামনে শুধু তার খারাপটাই আসবে। এভাবে একটার পর একটা অন্যায় দেখে আপনি তার প্রতি বিরক্তই হবেন, কিন্তু তার কাছে ক্ষমতা আছে তাই আপনি তাকে কিছুই বলতে পারবেন না তাকে শ্রদ্ধা দেখাতে হবে আপনার, হিসেবে সেটাকে শ্রদ্ধা বলে তবে ভালোবাসা না!!
ভালোবাসা হল এমন জিনিস যা মন থেকে আসতে হয়, কারো কাছ থেকে খুঁজে নিতে হয় না, কারো কাছে জিজ্ঞাসা করতে হয় না আপনি কি আমাকে ভালোবাসেন,!! তার সামনে গেলে সে এমনিতেই আপনাকে সম্মান করবে এবং ভালোবাসবেন,,তার ভালোবাসার দৃষ্টিতে তাকানো দেখেই আপনি বুজবেন যে সে আপনাকে কতটা ভালোবাসা এবং সম্মান করে শ্রদ্ধা করে।
আমরা যেহেতু মুসলমান আমাদের স্বভাব হলো কারো খারাপ কিছু দেখে ও চুপ থাকা, । সে বিষয়ে যদি আমি প্রকাশ করি সেটার কারণে তার মান সম্মানের হানি হতে পারে, এমন বিষয়গুলো সব জায়গায় বলে না বেড়ানো মুসলমানের কাজ হতে পারে না, কারণ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন::- কোন মুসলমান ভাই যখন অপর মুসলমান ভাইয়ের দোষ গোপন রাখবে আল্লাহ তায়ালা ও কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবে,
তবে যদি এমন হয় সেটার কারণে সমাজ, দেশ বা জাতির বৃহত্তর ক্ষতির আশঙ্কা থাকে তাহলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দোষ প্রকাশ করা খারাপ না।
কারণ,আমার বিল মারুফ' অর্থ সৎকাজের আদেশ। মানুষকে আল্লাহর পক্ষ থেকে যে আদেশ দিয়েছেন তা পালন করার জন্য মুসলিমদের কে আহ্বান করা,আদেশ বলে।
'নাহি আনিল মুনকার' অর্থ অসৎকাজে নিষেধ করা। আল্লাহর পক্ষ থেকে যা আমাদের জন্য নিষেধ করা হয়েছে তাকে মান্য করা। যখন দেখবেন কেউ সেই নির্দেশ মানতেছেনা তখন তাকে নিষেধ করা। প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের অবশ্যই কর্তব্য হলো সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজে নিষেধ করা,,তাই সে যদি রাষ্ট্রপ্রধান হয় তাহলেও তাকে নিষেধ করার ক্ষমতা রাখে সাধারণ জনগন হয়ে ও।
Comments
Post a Comment