ভাবি একরকম আর হয় আরেক হয়,

 আজকে এক স্টুডেন্টকে দেখলাম বই দিলো সরকারের পক্ষ থেকে যে সব বই দেওয়া হয় ওইগুলো, তাও ক্লাসের সব বই দেয় নাই কয়েকটা বই দিছে অর্থাৎ শুধু বাংলা বইটাই দিছে, আমি অধীর আগ্রহে বইটা হাতে নিলাম কারণ ভেবেছিলাম নতুন কিছু পাবো আমি ধরে নিয়েছিলাম যে জুলাইয়া আগস্ট এর স্মৃতিস্বর বা ছোট ছোট নাবালিক শিশুদেরকে  নতুন কিছু বুঝানোর বা জানানোর মাধ্যম হিসেবে বইগুলো কাজে লাগবে, কিন্তু যখন সূচিপত্র ঘাটলাম সবগুলো পেজ চেক করলাম, খুব খারাপ লাগলো ভিতর থেকে, এক ধরনের শূন্যতার আওয়াজ বের হলো নিজের ভিতর থেকে, আহা কিছুই দিল না, কয়েক পৃষ্ঠা বাড়তি ছাপানোর সুযোগ হলো না, তবে এতগুলো কষ্ট কি বৃথা, ছোট ছোট নাবালিক আগামীর প্রজন্ম গুলোকে কি আমরা কিছু বোঝাতে পারবো না, তাদেরকে কি জানাতে পারবো না তাঁদের বড়রা কতো  ত্যাগ করেছে,একটু মুক্ত ভাবে বাঁচার জন্য, কত মা তার সন্তান হারিয়েছে, কত বোন হারিয়েছে তাদের ভাই,কত স্বজন তার আত্মীয় হারিয়েছে, কতো বাবা হারিয়েছেন তাদের সন্তানকে, এবং কত ভাই ও পিতারা এখনো এখনো বেঁচেও মৃত্যুর  সাথে লড়াই করছে, জীবনের নাই কোন নিশ্চয়তা, কত ভাই আর বোন অনিশ্চিত জীবন নিয়ে পৃথিবীতে বেঁচে আছে, এসব চিন্তা করে এতটাই খারাপ লাগলো, প্রায় এক মাস শেষ হওয়ার কাছাকাছি এখনো যখন সব বই দেওয়া হয় নাই তাহলে একেবারে নাই দিতে??

 সংশোধন করার পরে দিতো অর্থাৎ  নতুনভাবে এবং এতো লেট্ করেই যখন বই গুলো বাচ্চাদের হাতে দেওয়া হচ্ছে, তাহলে কয়েক দিন পরেই দিতে,এবং কিছু পৃষ্ঠা বাড়তি ছাপাই তো!! সেখানে শুধু  আমাদের ভাই-বোনদের কষ্টগুলো লিখা থাকতো ''''''''' যা দেখে আমরা সকলে শান্তি পাইতাম, এবং সামনের প্রজন্মকে বোঝাতে পারতাম, মুখে বলা আর কিছু দেখিয়ে দেওয়ার মধ্যে অনেক পার্থক্য, কমবেশী তারা নেটের জগতে থাকলেও, অতটা কিছু বুঝে না যতটা তাদের সামনে যদি একটা ছবি দেওয়া হয় ওইটা থেকে বুঝে, বাচ্চারা মাটির মতো ছোট থেকেই যেভাবে গড়ে তোলা হয় তারা সেরকমই হয়, যেমন আমি আপনি ছোট থেকে যুদ্ধের কাহিনী শুনছি, মুক্তিযুদ্ধ এটা হয়েছে ওটা হয়েছে একুশে ফেব্রুয়ারি এবং ১৬ই ডিসেম্বর ২৬ শে মার্চ এবং বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এভরিথিং যা কিছু আছে, আপনি আমি যেভাবে বলতে পারব তার থেকেও একটা ছোট বাচ্চা আরো সুন্দর করে বলতে পারবে, কারণ সে বেশি বলে আপনি আমি যতো কিছু বলি তার থেকে ও বেশি, ছোটরা বোঝেনা কিন্তু তারা মুখে মুখে বলে, সময় যখন তারা বড় হয় সে প্রতিভাটা তাদের মধ্যে বসবাস করে, যেমন আমরা ছোট থাকতে যুদ্ধের কথা শুনছি, কিন্তু জুলাইয়ের সময় ঐ যে আগে শুনছি সে প্রতিভাটাই সবাই কে আরো সহজ  দিছে, ঠিক আমাদের সামনের প্রজন্মে কেও আমাদের এভাবে গড়ে তুলতে হবে, ন্যায়ের পক্ষে থাকা, সঠিক সময় সঠিক কথা বলা, সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, বিপদের সময় পিছু না-হটা, যেকোনো কাজে যদি সবাই একসাথে আগায় তাহলে কিছুটা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে, কিন্তু যদি কিছু মানুষ ও পিছু হটে তাহলে সবারই ক্ষতি,

 তাদেরকে বোঝাতে হবে যে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে সবার মতামত এক হয় না এটা যেমন ঠিক তেমনি যদি কোন লক্ষ্য সবার একই থাকে তখন মতপার্থক্য গণনার না। যেমন উদাহরণস্বরূপ আমাদের এই আত্মত্যাগী ভাইদের কাহিনী গুলো জুলাইয়ে কে মুসলমান কে হিন্দু কে খ্রিস্টানকে বা কে কোন ধর্ম অবলম্বনকারী এগুলোর পরোয়া ছিল না তখন সকলের একমাত্র লক্ষ্য ছিল ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা অন্যায়ের বিচার হওয়া, আলহামদুলিল্লাহ তা হয়েছে ও....। এত সুন্দর একটা শিক্ষনীয় বিষয় যখন দেখলাম এত বড় একটা বইয়ের কোথায় ও কিছু পৃষ্ঠা হলো না এই কষ্টগুলো এই বাস্তব রূপ উদাহরণ হিসেবে বাচ্চাদের সামনে তোলে ধরার, আমি জানিনা অন্য কোন বইয়ের দিছে কিনা  তবে ইবতেদায়ী প্রথম শ্রেণীর বাংলা বইয়ে আমি পাইনি,,, আর ইবতেদায়ী প্রথম শ্রেণীতে বাংলা বই ছাড়া আর কোন বই দেওয়া ও হয়নি, আমি যা দেখেছি তার মধ্যে পাইনি তাই আমি আমার দিক থেকে যা লিখার তা লিখছি, আমার খারাপ লাগাটা লিখেছি,,,


Comments