পোশাক কখন খুলে নেওয়া হয়!!!

 পোশাক নয় প্রয়োজন চরিত্র পরিবর্তন করা!!!

 পোশাক পরিবর্তনের বিষয়টা যখন আজ চোখে পড়লো, তখন খুব সুন্দর একটা কথা মনে আসলো, মানুষের পোশাক পরিবর্তন করেই কি তাদের চরিত্র পরিবর্তন করা যায়??? আমি বলবো হ্যা.... হতে ও পারে,, যদি এইটা তাদের জন্য হেদাযেতের মাধ্যম হয়ে থাকে। 

কারণ মানুষের পৃথিবীতে সব থেকে আসল সম্মান হলো তাঁদের পোশাক। মানুষ যতো খারাপ হোকনা কেনো যদি সে পাগল না হয় তাহলে ইচ্ছাকৃতভাবে কখনো তার পোশাক খুলেনা, এটা সকলেই খুব খারাপ মনে হাজার টাকার বিনিময়ে ও এটা করেনা,

পোশাক এতোই সম্মানীয় একটা জিনিস সেটা ঠিক না থাকলে মানুষ তাকে আর মানুষই বলে না, পাগল নামে সুম্মুধন করে,

এমন কি যখন আদম(আ.)ও মা হাওয়া(আ.) এর থেকে জান্নাতের পোশাক খুলে নেওয়া হয়েছিলো, তখন ওনারা নিজেদের লজ্জাস্থান গুরার জন্য গাছের পাতার সাহায্য নিয়েছিলেন, সে হিসেবে ও বুঝা যাই মানুষের পোশাক খুলে নেওয়া হয় কখন, আর পোশাকের গুরুত্ব এতোটা, শিক্ষা নিলে এখান থেকেই নেওয়া উচিৎ।

মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে যেসব নে‘মত দান করেছেন, পোশাক তার মধ্যে অন্যতম। আল্লাহ বলেন,

يَا بَنِيْ آدَمَ قَدْ أَنْزَلْنَا عَلَيْكُمْ لِبَاسًا يُوَارِيْ سَوْآتِكُمْ وَرِيْشًا، وَلِبَاسُ التَّقْوَى ذَلِكَ خَيْرٌ ذَلِكَ مِنْ آيَاتِ اللهِ لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُوْنَ-

‘হে আদাম সন্তান! আমরা তোমাদেরকে পোশাক-পরিচ্ছদ দিয়েছি তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করার জন্য এবং শোভা বর্ধনের জন্য। আর তাক্বওয়ার পোশাক হচ্ছে সর্বোত্তম। ওটা আল্লাহর নিদর্শন সমূহের মধ্যে একটি, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে’ (আ‘রাফ ৭/২৬)।

পোশাক সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন হওয়া বাঞ্ছনীয়। মহান আল্লাহ বলেন,

يَا بَنِيْ آدَمَ خُذُوْا زِيْنَتَكُمْ عِنْدَ كُلِّ مَسْجِدٍ وَكُلُوْا وَاشْرَبُوْا وَلاَ تُسْرِفُوْا إِنَّهُ لاَ يُحِبُّ الْمُسْرِفِيْنَ-

‘হে আদম সন্তান! প্রত্যেক ছালাতের সময় তোমরা সাজসজ্জা গ্রহণ কর। আর খাও, পান কর কিন্তু অপচয় করো না। অবশ্যই তিনি অপচয়কারীদেরকে পসন্দ করেন না’ (আ‘রাফ ৭/৩১)। 

তাই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, শুধু শুধু পোশাক পরিবর্তন করে কি লাভ যদি মানুষ গুলো অমানুষ থেকেই যাই, এতো অপচয় করে ও কি জনগনের কোনো লাভ আছে??


الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنِي هَذَا الطَّعَامَ وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلَا قُوَّةٍ অর্থ: সমস্ত প্রশংসা আল্লহ তা’আলার যিনি আমাকে এই খানা খাওয়াইয়াছেন এবং আমার চেষ্টা ও সামর্থ্য ছাড়া আমাকে ইহা নসীব করিয়াছেন।

 

""প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি আমাকে কাপড় পরিধান করাইয়াছনে, এই কাপড় দ্বারা আমি আমার ছতর ঢাকি এবং আপন জিন্দেগিতে উহা দ্বারা সাজসজ্জা হাসিল করি। (মুস্তাদরাকে হাকিম হাঃ ৪/১৯২; মুসনাদে আহমদ হাঃ ১/৪৪)। 

চোখের সামনে দেখা,

দুনিয়ার জ্ঞান অনেক মানুষের গায়ের কাপড় খুলে নিতে,অন্যদিকে আসমানী ইলম কাপড়বিহীন নগ্নদেহ মানুষ ও  কাপড় এ আবৃত করতে,

কেউ উলঙ্গ হওয়ার স্বাধীনতা শেখায়!

আবার কেউ শিখাই কাপড় পড়ার স্বাধীনতা!

মানুষ হলে তো তার কাপড় পরিধানের শিক্ষা- টাই ভালো লাগবে,কিন্তু যদি মানুষ রূপে পশু হয় তাহলে তো তার নগ্নতার শিক্ষাই ভালো লাগবে, এবং এমন শিক্ষক, শিক্ষাঙ্গনই সে খুজবে ।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোর বই গুলোতে খেয়াল করা, জুলাই আগস্ট এর শিক্ষা গুলো থেকে কি শিক্ষা নেওয়ার একমাত্র মাধ্যমে হলো প্রতিষ্ঠানের বই।সামনে যেনো আর কোনো দলের বা কোনো প্রজন্মের পোশাক পরিবর্তনের চিন্তা করতে না হয়। 

তাই এখন থেকেই বাচ্চাদেরকে ন্যায়ের পথে চলার শিক্ষা দিতে হবে। কারণ কাঁটা-ছেড়ার যে কি কষ্ট বা ব্যথা সেটা যখন সে স্থানটা শুকিয়ে যাই তখন এতো বুঝা যায়না, বা কষ্ট অনুভব হয়না।







Comments