শিশুরা রঙিন স্বপ্ন দেখবে,আমাদের উপরে উঠার সিঁড়ি দেখে!
শিশুরা বেড়ে ওঠা বা বড় হওয়ার মাঝে সব থেকে বেশি ভূমিকা রাখে তার আশেপাশের পরিবেশ ও তার নিজের পরিবার।
কারণ শিশুরা কাঁচামাটির মতো, তারা যা দেখে বড় হবে সেটাই তারা গ্রহণ করবে, তাদের ধারণা তো এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ, মা-বাবাদের আচরণ চাচা চাচি বা খালা, ফুফু এরাই তো একটা শিশুর পুরা পৃথিবী, তাই আমাদের বড়দের উচিত শিশুদেরকে সুন্দর একটা পরিবেশ উপহার দেয়া,আমাদের সাধ্য মতো।
বর্তমানে আমরা নিজেরকে শুধু সেলিব্রিটি করার নেশায় ডুবিয়ে রাখার চিন্তা ও চেষ্টা নিয়ে পরে থাকি, আর অপর দিকে আমাদের বড়দের দেখা দেখি ছোটরা ও পড়ে খাকে ছোট অবস্থায় বড় বড় সপ্ন নিয়ে অর্থাৎ তারা মনে করতে থাকে মোবাইলই একমাত্র পৃথিবী, কারণ সে পৃথিবীতে যতো মানুষ দেখতেছে বডে উঠার সাথে সাথে তার পরিবার বা আসে পাশে বেশির ভাগ মানুষ পড়ে আসে মোবাইল আর টাইম নষ্ট করার গান মুভি অ খেলা-ধুলা নিয়ে, ছোটদের সাথে কথা বা তাদের সাথে খেলা-ধুলার সময় নেয় কারো, অনেক পরিবারে তো ছোটরা বের হয়ে একটু ঘরাফেরা করার অ সময় সুযোগ কোনোটাই পায়না।
বিশেষ করে শহরে বেড়ে ওঠা শিশুরা তাঁদের শৈশব হয়ে উঠেছে বর্তমানে একধরনে প্রতিবন্দী যারা হাঁটা চলা করতে পারেনা,তাঁদের মতো কারণ শহরে একটা বাসার পাশেই অন্য আরেকটা বাসা বের হওয়া বা হাঁটা-চলার তো কোনো সুযোগই নাই বললেই চলে, কিন্তু তা ও কিছু কিছু বাসা আছে সেগুলোর সামনে একটু জায়গা খালি আছে, কিন্তু সামনে তা ও থাকবে, কারণ সেই অল্প জায়গাতে ও মানুষ ছোট ছোট ঘরে তৈরী করে সেগুলোকে দোকান হিসেবে ভাড়া দিয়ে দিচ্ছে ও দিছে আবার অনেকে দেওয়ার পরিকল্পনা করতেছে। ছোটরা আমাদের থেকে শুধু টাকা আর দুনিয়াবি উন্নতি দেখছে, আর দুনিয়াকে উপভোগ করার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে উন্নতি করতে হবে, তবে সেটা শিশুদের অন্নন্দ নষ্ট করে না, বরং উচিত ছিলো সেটা শিশুদের কে আনন্দ দেওয়ার মাধ্যমে করা।
একটা সময় ছিলো যখন মা বাবা ভাই বোন কি কিভাবে ইনকাম করে সেটা আমরা খুব বেশি পযোজন ছাড়া জানতাম ও না, আর জানলে ও খুব অল্প কথায় জানানো হতো, অনেক সময় বুজতাম আবার অনেক সময় বুজতাম না।
আর এখন বুঝতে হয়না শিশুরা বুঝ হওয়ার পর থেকেই সব কিছু দেখে, তাই তাঁদের নতুন করে কিছু বুঝার প্রয়োজন পড়ে।
তাই শিশুদের সামনে ভালো কিছু করা, বিশেষ করে মোবাইল তাঁদের সামনে না ধুরা খুবা যদি প্রয়োজন না হয়।
তাদেরকে তারা যখন বুঝতে পারার বয়সের হবে তখন যদি ও তাদের সামনে মোবাইল ধরেন তাহলে ও আগে তাদেরকে মোবাইল ব্যবহারের পয়োজনটা কি সেটা বুঝাবেন, ধরনের তাঁদেরকে বলবেন যে আমরা এখন ঘরে কিন্তু আমাদের আপন জন বা আত্মীয় যারা এখন বর্তমানে আমাদের সামনে নেই তারা কেমন আছে বা কোনো আত্মীয় অসুস্থ হলে সে কেমন আছেন অথবা আপনার যদি মোবাইল কোনো কাজ থাকে সে কাজ করার জন্য আপনি অনেক বেশি সময় দিতে হয় মোবাইলকেন তাহলে আপনি শিশুকে বুঝাতে পারেন সে ক্ষেত্রে বুঝানোর জন্য আপনি কোনো কিছু শিখার জন্য যেমন (আল-কুরআন) শিক্ষা বা নিজে নিজে পড়তে ইচ্ছা করেনা অন্য একজনকে শুনাতে পারলে হয়তো সময় বের হয়ে যেতো সে হিসেবে @khalamma.com বা অন্য যেকোনো গ্রুপ এ জয়েন হতে পারেন ইত্যাদি এমন ইমপোর্টেন্ট বিষয়ের জন্য মোবাইল ব্যবহার করি আমরা, আর তখন যেহেতু শিশুর মেধা বিকাশের সময় তখন তারা রুঙিন স্বপ্ন দেখে আপনি আর তখন তারা ও সুন্দর চিন্তা ও স্বপ্ন দেখতে শুরু করবে তাদের ও ইচ্ছা জাগবে আর সেই ইচ্ছাটা হবে হয়তো নতুন কিছু শিখার আর না হয় সে বড় হয়ে কারোকে কিছু শিখানোর। এভাবেই তার স্বপ্ন দেখা হয়তো শুরু হবে।
সামনে আসছে পবিত্র রমজান মাস, এখন থেকেই অনেক অনেক কিছু স্বপ্ন ও চিন্তা করে রাখতেছে, হয়তো শিক্ষার না হয় শিখানোর। আবার অনেকে এখন থেকে চিন্তা করতেছে ওহহহহ্হঃ আমি পারিনা কি অর্থাৎ রমজানে আমাদের মুসলিম পরিবারের কম বেশি সকালের পরিবার গুলোতেই আলহামদুলিল্লাহ আমল করার মধ্যেই সময় পার করে থাকে। আর সকলের হাজারো কাজের মাঝে ও অনেক সময় থাকে, হয়তো সেটাই আল্লাহপক্ষ থেকে আমাদের জন্য রহমত হিসেবে দিয়ে থাকে। এই সময় গুলোতে অনেক মোবাইল টিপে বা তেলাওয়াত করে আর তখন তেলাওয়াত করতে গিয়ে কোথাও মাঝে মাঝে মনে হয় ভুল হচ্ছে আর তখন নিজে নিজে চিন্তি হয় আর বিশ্বস্ত কোনো জায়গা খুঁজে সেখানে তাকে যেতে হবেনা,ঘরে থেকেই বা নিজের সকল কাজের ফাঁকে ও সে তার পড়া শুনাতে পারবে সাথে সে তার মনের মাঝে থাকা কিছু প্রশ্ন বা ইসলামিক কিছু বিষয় যখন যা তার জানতে ইচ্ছা করবে কোনো দ্বিধা ছাড়াই জিজ্ঞাসা করতে পারবে।
আলহামদুলিল্লাহ এমন একটা বিষয় নিয়ে আছি আপনারা মহিলারা চাইলে khalamma.com এখানে ভর্তি হতে পারেন। অনেক দূরে থেকে ও চাইলে আমরা সকলে একসাথে থাকতে পারি।
শিক্ষা বা না-জানাতে নেই কোনো লজ্জা, আমাদের পারবিবারে কে শুদ্ধ করে পড়তে পারে আর কে পারেনা বা খুব কম পড়ে বা ভুল পড়ে সকলের জন্যই সকলেই শিখতে পারবেন বা পড়া শুনাতে পারবেন।
Comments
Post a Comment