আজ সেই ২১শে ফেব্রুয়ারি..



"আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি,

আমি কি ভুলিতে পারি।”

ভাষা হলো জাতির আত্মা। ভাষার চেয়ে বড় সম্পদ আর কিছুই হতে পারে না । আমাদের মাঝে দীর্ঘ একটি বছর পর আবার একুশে ফেব্রুয়ারির আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস চলে এসেছে।

 অনেকেই আছে মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মনের আবেগ থেকে ফেসবুকে ক্যাপশন এবং স্ট্যাটাস দিয়ে থাকে।

গানের মাধ্যমে আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় শহিদদের আত্মত্যাগের কথা। এতো শহীদের  তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা বাংলাকে আমাদের মাতৃভাষার স্বীকৃতি দিয়েছি। 

ভাষা শহিদদের প্রতি আমাদের ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়। তাদের আত্মত্যাগ আমাদের শিক্ষা দেয় যে ভাষা কেবল কথোপকথনের মাধ্যম নয়; এটি আমাদের পরিচয়, আমাদের অস্তিত্ব।


আজকের এই দিনটিতে আমরা আমাদের শহীদ ভাইদের মনে করে থাকি গানের মাধ্যমে হোক বা কষ্টের মাধ্যমে হোক, সে যেভাবেই করি না কেনো দিনটি সম্পর্ণ তাঁদের কথাই মনে করা হয়ে থাকে।


১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের পর পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠিত হয়। পূর্ব বাংলার মানুষ ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ, কিন্তু তাদের মাতৃভাষা বাংলার প্রতি কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।

 ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের সরকার ঘোষণা করল যে উর্দু হবে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এই ঘোষণাটি পূর্ব বাংলার মানুষকে ক্ষুব্ধ করে তোলে

বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর এই আগ্রাসনের প্রতিবাদে ১৯৪৮ সাল থেকেই বিভিন্ন আন্দোলন শুরু হয়।

 ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নেয়। ছাত্র সমাজ, শ্রমিক, কৃষকসহ সর্বস্তরের মানুষ রাস্তায় নেমে আসে এতে অংশ গ্রহণ করে।

সেদিন পুলিশ বাঙালিদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি চালায়। সালাম, রফিক, বরকত, জব্বারসহ অনেকে শহিদ হন। তাদের এই আত্মত্যাগ বাঙালির হৃদয়ে গভীর চিহ্ন রেখে যায়। ভাষা আন্দোলনের এই সংগ্রাম পরবর্তীতে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ভিত্তি স্থাপন করে।


এই দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, ভাষা কেবল কথার মাধ্যম নয়; এটি আমাদের পরিচয়, আমাদের আত্মার প্রতীক। সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার এবং নাম না-জানা আরও অনেকের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আমাদের মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিতে পেরেছি। তাদের এই আত্মত্যাগ আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায় হয়ে থাকবে। আমাদের ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি আজকের আলোচনা শুরু করছি।


••আজকের দিনে আমাদের দায়িত্ব হবে তাদের প্রতি সম্মান  জানানো এবং ছোটদেরকে তাঁদের প্রতি সম্মান  শিখানো। কারণ আমরা ছোটদেরকে না শিখালে তারা কিভাবে জানবে!


১. প্রথম আমাদের বাংলা ভাষার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

২. প্রযুক্তি, সাহিত্য এবং শিক্ষায় বাংলার প্রয়োগ বাড়াতে হবে।

৩. শিশুদের মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তোলতে হবে।

৪. বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে।


শুধু একুশে ফেব্রুয়ারি পালনে সীমাবদ্ধ না থেকে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মাতৃভাষার প্রয়োগ বাড়াতে হবে।

  আজকের দিনে তাদের প্রতি সম্মান এবং শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের জন্য দোয়া ইস্তেগফার পাঠ করা এবং তাদের জন্য মন থেকে দোয়া করা,


 তাছাড়াও আজকে হলো শুক্রবার, শুক্রবার বিশেষ একটা  গুন রয়েছে 


সপ্তাহের সব দিনের শ্রেষ্ঠ ও মর্যাদাপূর্ণ একটি দিন আর সটা হলে আজকের দিন, সম্মানিত শহীদ দিবসদের প্রতি আরো সম্মান জানানোর একটা মাধ্যম হবে আজকের এই ভালো দিনটি।

••দিনের ফজিলত সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য হাদিস গ্রন্থগুলোতে একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। বিখ্যাত সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম।


দিনের আরেকটি আমল হচ্ছে :-

নবীজির ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। 

এই মর্মে রাসুল (সা.) বলেন:-

দিনসমূহের মধ্যে জুমার দিনই সর্বোত্তম। এই দিনে হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এই দিনে শিঙায় ফুঁ দেওয়া হবে। এই দিনে সব সৃষ্টিকে বেহুঁশ করা হবে। অতএব, তোমরা এই দিনে আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করো। কেননা তোমাদের দরুদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়ে থাকে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭)


 ভাই এই দিনটির অনেক অনেক বিশেষ বিশেষ গুণ রয়েছে 



Comments