আমরা তো সেই মানুষ যারা মেহমান আসবে জেনে ও-অপ্রস্তুত..!



আমরাই সেই মানুষ যারা পৃথিবীতে আসার ৫০ হাজার বছর আগেই  অর্থাৎ আসমান জমিন সৃষ্টির করার আগেই  আমাদের মৃত্যুর দিন ঠিক হয়ে আছে অর্থাৎ তাকদীর লিখা হয়েছে গেছে, আর তাকদীর সেটা সেটা আমাদের সাথে প্রতিনিয়ত হতে থাকে, সেখানে নেই কোরো হাত, আমরা ইচ্ছা করে করি বা অনিচ্ছায়,আমাদের জীবনে যতো ভালো খারাপ ঘটনা আছে সব কিছুই তাকদীরের লিখা অনুযায়ী হয়ে থাকে।

আর সেই খাতার শেষের পাতায়  লিখা আছে  

-----  মৃত্যু।-----


আল্লাহ রাববুল আলামীন কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেন-

               كُلُّ نَفْسٍ ذَآىِٕقَةُ الْمَوْتِ ؕ

প্রত্যেক প্রাণীয় মৃত্যুর স্বাদ- আস্বাদন  করতে হবে,


আমি আপনি সকালেই মরণশীল, যেমন গতো- মাসে এমন দিনে আমার মেজো চাচা ও আমার মেজো দাদা এই সুন্দর রঙিন পৃথিবীতে ছিল আর এখন তারা নেই, প্রথম প্রথম হয়তো মেনে নিতে পারতাম না বা খুবই খারাপ লাগতো, আস্তে আস্তে যত দিন যাচ্ছে তারা মন থেকে উঠে যাচ্ছে, হ্যাঁ তাদের কথা যখন মনে পড়ে তখন খারাপ লাগে কিন্তু সব সময় না।

 আসলে মৃত্যুটা যতটা কঠিন  তার থেকেও বেশি কঠিন মৃত্যুর পরে সময়টা, কারণ পৃথিবীতে যে যেমন কর্ম করবে মৃত্যুর পরে সে সেটাই ভোগ করবে, আর পৃথিবীর পরের সময়টা আর কখনো ফুরাবে না, পৃথিবীতে যে যেমন কর্ম করে যাবে সেই শাস্তিটা তার ভোগ করতে হবে, পৃথিবীতে সৎ কাজ করে না গেলে সে চাইলেও পৃথিবীতে আবার ফিরে আসতে পারবে না, আর সেটা কখনো সম্ভব ও না, তাই নিজের জীবনকে পরিচালিত করার ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার হুকুম আহকামকে মেনে চলা, নিজের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্ট ও মেনে চলার চেষ্টা করা।


আল্লাহর সন্তুষ্ট অর্জনকারী বান্দাদের জীবনী থেকে  হিকমত গ্রহণ করা । তাঁদের জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছু  শিক্ষার ও নেওয়ার রয়েছে।


••কুরআন মাজীদে আল্লাহ রাববুল আলামীন বলেন-

          اُولٰٓىِٕكَ الَّذِیْنَ هَدَی اللّٰهُ فَبِهُدٰىهُمُ اقْتَدِهْ ؕ

এদেরকে আল্লাহ তায়ালা হেদায়েত দান করেছেন। সুতরাং তুমিও তাদের পথের অনুসরণ কর। তুমিও তাদের হেদায়েতের পথে চল। যাদেরকে আল্লাহ তায়ালা হেদায়াত দান করেছেন। যারা সিরাতে মুস্তাকীমের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন।

•• রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আনিত শরীয়তের উপরও রাসূলের সুন্নতের উপর পঅটল ছিলেন। 

আল্লাহ বলেছেন, তুমি তাদের রাস্তায় চল। কেননা তাহলে সেটাই হলো নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর রাস্তা, সাহাবায়ে কেরামের রাস্তা ও মোত্তাকিদের রাস্তা,

আর নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে রাস্তায় চলেছেন সেটাই হেদায়েতের একমাত্র রাস্তা। আল্লাহকে রাজী-খুশি  করার জন্য আল্লাহকে  সন্তুষ্ট  করার রাস্তা আমাদেরকে প্রথমে এমন মানুষদের জীবন থেকে শিক্ষা নিতে হবে, কারণ তাঁদের পথ এ নবীকে পাওয়ার পথ, আর নবীজী কে পাওয়ার পথ মানে আল্লাহ তাঁয়ালাকে সন্তুষ্ট করার পথ,

 কিন্তু বর্তমানে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যখন বিশেষ কোনো কিছুর ছুটি দেওয়া হয় ও দিনগুলোতে, বিশেষ ছুটি বলতে যখন কোন দিবস উদযাপন করার ক্ষেত্রে ছুটি দেওয়া হয়, যেমন আজকে ২১শে ফেব্রুয়ারী হিসেবে সবকিছু অফ ছিলো আর বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ ফুলের নিয়ে গিয়ে মৃত্যু ব্যক্তিদের কবরে শুভেচ্ছা দেওয়া, অর্থাৎ শহীদ মিনারে ফুল দেয়া -- তথা খাম্বা পূজায় লিপ্ত হওয়া কোন মুসলিমের জন্য বৈধ নয়। 

এটি মুসলিমদের জন্য সম্পূর্ণ হারাম, কেননা এটা একটা শির্ক। একজন মুসলিম হিসেবে কবর জিয়ারত ও তাদের জন্য দোয়া করা ছাড়া আর কোন কিছু করা ঠিক না।

মহান আল্লাহ্ বলেন- "নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শির্কে লিপ্ত হয়, আল্লাহ তার জন্যে জান্নাত হারাম করে দেন।

কিছু মানুষ কাজের ব্যস্ততা সপ্তাহে ১টা দিন ছুটি পাই আর এই একটা দিন নির্দিষ্ট করে রাখে কোথায় সে ঘোরতে যাবে, কিভাবে সে পুরাদিনটা সুন্দর করে কাটাবে, এই সব লিস্ট করতে করতেই তার ২তিন ঘুন্টা চলে যাই,আর ছুটির দিনে তো তাদেরকে ঘুরা ফেরা দেখে মনে হবে না তারা কখনো মৃত্যু বরণ  করবে।

মনে হয় যেনো জীবনের হিসেবে করেই মানুষ  সময় পায়না নিজেকে কতো বার প্রশ্ন করে জীবনের জন্য কী করেছে সারাদিন কী করবে ভবিষ সুন্দর হওয়ার জন্য। অথচ মানুষ মৃত্যুর বেপারে জীবনকে প্রশ্ন করতেই ভুলে যাই, প্রতিদিন তো নাই সপ্তাহে ও অনেকে ভুলে যাই যে তার জিজ্ঞাসা করার কথা প্রতিদিন জীবনকে, সে জীবন কী অর্জন করছে মৃত্যুর পরের জন্য,আল্লাহকে সে কী দেখাবে, কী হবে তার  ভবিষ্যৎ এগুলো!! 

মৃত্যুকে আমরা  স্মরণ করি বা নাই করি, মৃত্যু ঠিকই আমাদেরকে স্মরণ করে আর সেটার প্রমান ঠিকি আমরা পাই তখন যখন হঠাৎ শুনো কেউ বের হয়ছে কোনো কাজে আর তখন সে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত ছিল না, এ প্রসঙ্গে একটা কথা মনে পড়ছে :- গতকাল আমার একজন মানুষ আমাকে একটা পোস্টে দেখেয়েছিল অর্থাৎ পোস্টটা এমন ছিল যে,একজন লোক যার আজকে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, সে কার্ড নিয়ে বিয়ের দাওয়াত দিতে যাচ্ছিল এমন সময় বাইক এক্সিডেন্টে সে মারা যায়.....!

------------ মৃত্যু.........,

 আপনি প্রস্তুত থাকুন বা না থাকুন সেটা সময় মত এসে আপনার সামনে হাজির হবে, আর পৃথিবীর কোন শক্তি নেই সে মৃত্যুকে আটকানোর,

আপনার মৃত্যু দন্ডের আদেশ জারি  হয়ে গেছে,, আপনার জন্মেই আগেই। 

 যেকোনো সময় মৃত্যু আপনাকে ঘিরে ধরবে চারি পাশ থেকে, তাহলে কিভাবে আপনি এত নিশ্চিতে ডুবে আছেন দুনিয়ার গান, বাজনা,ও কারিয়ারের চিন্তা নিয়ে হাসি, তামাশা নামক ঘোরাফেরা আর মিথ্যা দুনিয়ার মায়ায় সৌন্দর্যের ডুবে আছেন, একবারও কি চিন্তা হচ্ছে না যেকোনো সময় মৃত্যু চলে আসতে পারে আমাদের। এই মিছে দুনিয়ার সব মায়া মোহ ছেড়ে সাথে সাথে চলে যেতে হবে রবের কাছে৷ রবের সামনে দাড়ানোর জন্য প্রস্তুত আছেন তো আপনি?

 সামান্য একটু অসুস্থ আর বুমি হইছিলো পরশু বমি হওয়া আগে এমন পরিমান খারাপ লাগছে মনে হয়েছে যেন সেদিনই আমি মারা যাব, টেবিলের উপর থেকে মাথাটা উঁচু করতে পারতেছিলাম না, ভিতরে ভিতরে এতই ভয় পাইছিলাম, আল্লাহকে শুধু মনে মনে একটা কথাই বলছিলাম আল্লাহ আরেকটা সুযোগ দাও, আমি যদি এখন মরে যাই আমি..... কী দেখাবো, আসলেই অসুস্থ হলেই আমার মনে হয় প্রত্যেকটা মানুষের ভয় হয় আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করা হয় ঐ সময়, সুস্থ থাকলে অতটা স্মরণ করা হয় না, আমাদের প্রয়োজনীয় সব কাজ করি কিন্তু আল্লাহ তাআলার ব্যাপারে গাফেল থাকি  খুব বেশি, সকলের হকের প্রতি খেয়াল রাখি কিন্তু আল্লাহতালার হকের প্রতি  ওবেহেলা করি।

 আল্লাহ তাআলা আমাকে যে সুযোগটা দিয়েছেন, আবার আল্লাহ তায়ালা আমাকে সেই সুযোগ ও তৌফিক উভয়টায় দেক কাজে লাগানোর।

Comments