নিজেকে নিজেরি নিরাপদ রাখতে হয়।



কিছু দিন ধরে চুরি আর মানুষের ক্ষতির কথাই দেখতেছি আর শোনতেছি খুব বেশি বললেও ভুল হবেনা, চুরি করলে ধরা খাবে জানে তা ও চুরি করতে চাচ্ছেন কেনো কিছু মানুষ এমন করছে সত্যিই বুঝতেপারছিনা গতো পরশু আমাদের বাসার পাশে একটা ছোট খাটো চা-মাইকসার এর দোকান আছে কিছুই মানুষ একত্বে বসে চা খাচ্ছে আর গল্প করছে, তাদের খাওয়ার মাঝে একজন অটোচালক অল্পবসয়ের ছেলে ও আসছে আর সে ও চা খেতে বসলো এর মাঝে দোকানের মানিক সে তার মোবাইলটা চার্জ এ দিয়ে সকল কাস্টমার যা চাইতেছে তা তা দিচ্ছে এর মধ্যেই একটু আগে যে অটোচালক আসছিলো সে মোবাইলটা নিয়ে সোজা তার গাড়ি চালিয়ে চোলে যাচ্ছে এটা কিন্তু সকলের সামনেই হচ্ছে, পরে লোকেরা বলতে লাগলো যে মোবাইল চোর সকলের চিল্লানি সে পাত্তাই দিলো না, সে গাড়িতে বসে মোবাইল নিয়ে দ্রুত চোলে যাচ্ছিলো কিন্তু একটু পরে ও সকলে আর গাড়ি আটকে ফেলে কারণ রাস্তায় মানুষ ছিলো এবং জেম ও ছিলো..

পরে অনেক মারলো ছেলেটাকে ছোট ছেলে এতো বয়স ও হয়নি, খুব মায়া হলো ছেলেটার জন্য, কী ধরকার ছিলো মোবাইল টা নেওয়ার অনেক বেশি দামি মোবাইল ও না সেটা সে বিক্রি করতে পারলে অনেক বেশি উপকারীটা হবে! শুধু শুধু মোবাইল নিয়ে মারলো খেলো, পরের দিন জানতে পারলাম ছেলে নাকি দুষ্টামি করে নিছিলো, আর যারা তাকে মারছে তারা ও নাকি জানে যে সে ছোট ছেলে চুর না, পরে সব কীছু ঠিক হলো এতো কিছু হওয়ার পরে ও। ......... শুধু  ঠিক হয়নি ছেলেটার শরীর পিঠানো লাঠির ব্যথা,

মূলত বর্তমানে এমন কিছু অবস্থান তৈরী হচ্ছে হোক সেটা নিজেদের ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত, কিন্তু হচ্ছে সেটাই আসল কথা, কী হয়ছে কেনো হয়ছে সেটা ঠিক  কী ঠিক হয়ছে  নাকি ভুল হইছে এগুলো মানুষ পরে চিন্তা করে, এবং ঠিক ভুল নির্ণয় করে।

 প্রথমে কিন্তু সবাই যা দেখে বা তাদের যা মনে হয় সেটায় বলে সকলেই, তাই প্রথম পত্যেক ব্যক্তি নিজেকে নিজের মতো করে গুছিয়ে চলাফেরা করতে হবে বের হলো,যদি মেয়ে হয় তাহলে অবশ্যই পর্দা পরা সম্পর্ণ করে বের হবো কারণ বলা যাই না যখন কোনো নাপাকির নজরে শয়তান ভারকে এগিয়ে আসে।

নিজের ইজ্জত সম্মান নিজেকেই রক্ষা করতে হবে, যাদের প্রতিনিয়ত কোনো কাজের সূত্রে বের হতে হয় তারা তো ভয় পেয়ে ঘরে বসে থাকতে পারবেননা, অবশ্যই তাদেরকে বের হতে হবে তাদের কর্মস্থানে যেতে হবে,তাই নিজের রক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা ও দায়িত্ব নিজেকে নিয়েই বের হতে হবে। 

••তাই আমাদের নিজেদের জন্য হলে ও কিছু ছোট ছোট আমল জেনে রাখা এবং মুখস্থ করে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পডা।


بِسْمِ اللّٰهِ الَّذِيْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهٖ شَيْءٌ فِي الْاَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاۤءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ 


(বিছমিল্লাহিল্লাজিই লা ইয়াদ্দুররু মাআছমিহি শাইয়ুং ফিল আরদ্বি ওয়ালা ফিছছামা-ই ওয়া হুয়াছ ছামিউল আলিইম) 

(আল্লাহ্‌র নামে; যাঁর নামের সাথে আসমান ও যমীনে কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। আর তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী)


হাদীসে আছে, যে ব্যক্তি সকালে তিনবার এবং বিকালে তিনবার এটি বলবে, কোনো কিছু তার ক্ষতি করতে পারবে না। 

(আবূ দাউদ, ৪/৩২৩, নং ৫০৮৮; তিরমিযী, ৫/৪৬৫, নং ৩৩৮৮,  হিসনুল মুসলিম) 

খুব উপকারী একটা আমল ছোট এবং সহজ অবশ্যই আরবি দেখেই পড়ে মুখস্থ করবেন কেননা বাংলায় উচ্চারণবেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভুল হয়।

 যখন বেশির ভাগ সময় একটা মহামারীর সম্ভাবনা থাকে তখন একটু সতর্কতা অবলোম্বন করা প্রয়োজন যেমন বেবি হবে যখন জানে বা নিস্চিত হয় তখন মায়েরা একটু আগের থেকে ও নিজের প্রতি খেয়াল রাখে, অথবা  যখন কেউ অসুস্থ হয় যেমন আমি কিছু দিন ধরে বুকে ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছি আগে শুয়া থেকে উঠার সময় খুব দ্রুত উঠে যেতাম কিন্তু এখন ১সপ্তাহের ও বেশি সময় ধরে খুব আস্তে ধীরে উঠি কারণ ব্যথা যেনো কম অনুভব হয়। তাই  আমি মনে করি এখন যখন সকলের আশেপাশে এমন বিপদের আশংকা  চলছে তাই বোনেরা একটু সম্ভধান হয়ে থাকাই ভালো।  প্রয়োজন ছাড়া বের না হওয়া, আর রাতে দূরপাল্লার সফরে তো ভুলেও একা না যাওয়া,সন্ধ্যার পর একা চলাফেরা না করার চেষ্টা করা। কোন দামি জিনিস বা স্বর্নের গয়না বা কানের দুল পরে বাইরে না যাওয়া,বিয়ের সাদিতে তো নাই...যথাসাধ্য নিজের সৌন্দর্য আড়াল করে বের হওয়া এবং বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে সম্পর্ণ পর্দা করে বের হওয়া কারণ মুসলিম নারীদের জন্য পর্দা করা ফরজ।

ঘরে একা থাকলে অর্থাৎ কোনো পুরুষ কেও না থাকলে পরিচিত হলেও কোন গাইরে মাহরাম পুরুষকে ঘরে না ঢোকানো,  কিছু কিছু শহর এলাকা গুলোতে ভিক্ষার মানে ও চুরি করছে, দরজায় এসে বলছে ক্ষিধা লাগছে, পরে যখন ভাত রেডি করতেছে তখন ভিক্ষা খুঁজতে আশা ব্যক্তি  সুযোগ পেলে ঘরে মোবাইল বা দামি কিছু যদি তার পছন্দ হয় ঐগুলো নিয়ে চলে যাচ্ছে, তাই প্রতিটা জিনিস দামি ঘরের, নিজের জিনিসের হেফাজত মানে ঈমানের হেফাজত, ঘরে ছোট বাচ্চা মেয়েদেরকে ও  অনেক সাবধানে রাখতে হবে,একা বাইরে খেলতে যাওয়ার ও কোন প্রয়োজন নেই। বাচ্চাদের প্রতি সতর্কতা সব সময়ের জন্যেই জরুরী।

••নিজের নিরাপত্তার জন্য সকাল সন্ধ্যা তিন কুল অর্থাৎ সুরা ইখলাস, ফালাক্ক, নাস (শুদ্ধ উচ্চারণে) তিনবার করে পড়বেন। রাতেও ঘুমের আগে পড়বেন। প্রতি রাতেই সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়ার অভ্যাস করবেন ইনশাআল্লাহ নিজে এবং ঘর ও নিরাপদ থাকবে। 


••যেহেতু প্রচুর ধষণ এর খবরশুনা হচ্ছে,

সেজন্য একজন নারীদের জন্য একটা মেসেজ ও বলা যেতে পারে.

মূলতো একটা ঐতিহাসিক ঘটনা আরকি। ঘটনাটা পড়ে যা বুঝার বুঝে নিয়েন। 

সামাঝদারকে লিয়ে ইশারাই কাফি। ঘটনাটা হচ্ছে-

~ওমর (রা:) এর শাসনামলে এক ব্যক্তি এক মহিলাকে

খারাপ কাজের দিকে ইশারা করেছে। কিন্তু মহিলা রাজি হয় নাই। না হওয়াতে লোকটা জোরপূর্বক ধস্তাধস্তি শুরু করেছে। এমন সময় সেই মেয়েটা রাস্তা থেকে একটা পাথর উঠিয়ে এত জোরে ছুড়ে মারছে যে লোকটা সেই মুহূর্তেই রক্তাক্ত হয়ে মারা গেছে।

এই ঘটনা যখন ওমর (রা:) দরবারে পৌছালো। বিচার বসল! 

ওমর (রা:) এক কথাতেই শেষ করলেন বিচার। বললেন, 'সেই লোক আল্লাহ কর্তৃক নিহত। অতএব তার রক্তপণ আদায় হবে না। মেয়ে দোষী সাব্যস্ত না।'


যাই হোক। ঘটনাটা এমনি বললাম আরকি...।



Comments