এই পৃথিবীটা মানুষের জন্য না, আর সেটা প্রমান করে প্রতিবার মানুষ নিজেরাই।



••পৃথিবীতে তো অনেক প্রাণী আছেন, কিন্তু কোনো প্রাণীর একেক জনের  সাথে একেক জনের কোনো বিবাদ বা জগড়া নাই, নেই তাদের মাঝে কোনো প্রতিযুগিতা বা প্রতিদ্বন্দিতা,প্রাণীরা নিজেরা যতোটুকু খেতে পাই তাই খাই, আর সে যতোটুকু খাই সে ভাবে ঐটুকুই তার, আর বাকি কোনো কে কি খাই না খায় তার কোনো মাথা ব্যথা নাই সে বিষয়ে,এমন কি সে কোথাটা বাচ্চার       মা -বাবা বা তাদের সন্তান কি করে কোথায় খাই কি খাই ঐ গুলো ও তাদের জানার কোনো প্রয়োজন বোধ করেনা তারা,আর একটাই কারণ সেটা হলো তারা সামাজিকতা বুঝে না  এবং তারা নিজেরা ও কোনো সমাজিক প্রাণী না।

••অন্যেদিকে মানুষ সামাজিক প্রাণী, সে কি করবে আর কি করবে না, এগুলোর একটা নির্দিষ্ট তালিকা আছে,অর্থাৎ প্রতিটা মানুষ জন্মের পর থেকেই তার পরিবার তাকে শিক্ষায় কোনটা ভালো কাজ আর কোনটা ভালো না, কোন কাজ সে করবে আর কোন কাজ সে করতে পারবে না, কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল, কার সাথে সে কি ব্যবহার করবে আর কার সাথে চলাফেরা কম করবে, কাকে সে সম্মান করবে আর কাকে সে কিছুই বলবেনা ইত্যাদি, আর সেটাই হলো সমাজিকতা সেটা কোনো প্রাণীদের মাঝে নাই একমাত্র মানুষ ছাড়া, 

কোন প্রাণী রাস্তায় কেনো সোজা হয়ে সুন্দর করে না হেটে বাঁকা হাটে কেনো  সে তার একজন নির্দিষ্ট সহধর্মি ঠিক না রেখে বিভিন্ন জনের সাথে সহবাসে করে বাচ্চা জন্ম দেয় ইত্যাদি এগোলোর কোনো জবাব দিহিতা নেই, অবশ্যই তার নির্দিষ্ট কোনো কিছু কারণ ও আছে আল্লাহ তাঁয়ালা তাদেরকে এমন করেই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তারা হওয়ার পর থেকেই মনে করে এবং বুঝে যে পুরা পৃথিবীটাই তাদের, এখানে অন্যের কিছু নাই তারা তাদের মতোই চলাফেরা করে কোনো কিছুই তাদেরকে গোপনে নেই এমন কি তারা তাঁদের যৌন চাহিদা বা (সহবাস) ও করে যখন সেখানে ইচ্ছা যেভাবে ইচ্ছা, তাঁদের কোনো নিয়ম নীতি নেই, নেই কোনো লাজ লজ্জা, লজ্জা কী সেটা ও তাঁদের বুঝার ক্ষমতা নাই,

আর অন্যেদিকের মানুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রাণী, তারা সব কিছু বুঝে, মানুষ সবসময় চায় তার যৌনতাকে গোপন রাখার, তাই সে বিয়ে করার আগে চিন্তা করে কিভাবে ব্যক্তিগত জীবন সুন্দর করা যাই আর সে চাই বিয়ের পরে যেনো তার যৌনতা সম্পর্কে ও কেউ কিছু না জানে কেউ দেখবে তো দূরের কথা, মানুষ সম্মানীয় তাই সে সব সময় সম্মান খুঁজে ও সম্মান নিয়ে পৃথিবীতে যতোদিন থাকবে থাকতে চাই।ইতর প্রাণীদের মতো না মানুষ।

মানুষের সৃষ্টির সাথে সভাবের একটা ভূমিকা রয়েছে, যা প্রাণীদের থেকে একেবারে অভিন্ন। 

আর মানুষের সৃষ্টিই হয়েছে সম্মানিত জায়গায় অর্থাৎ সকল মানুষকে আল্লাহ তাঁয়ালা বানিয়েছেন জান্নাত। 

যে মানুষরা দুনিয়াতে বসবাস করছে তাঁদেরকে পৃথিবীতে বানানো হয়নি, আর জান্নাতে যাদের জন্ম তারা কিভাবে অসম্মানিত হবে বা অন্যেকে অসম্মানিত করবে,

আল্লাহ তাঁয়ালা বলেছেন:- তোমরা যৌনাচারে লিপ্ত হতে পারবেনা এবং তলে তলে (গোপনে)লুকিয়ে লুকিয়ে ও প্রেম করতে পারবে না।

অর্থাৎ মুসলিম বৈধ উপায় ছাড়া তারা যৌন আকাঙ্খা মিটানোর কোন রাস্তা নেই। বৈধ উপায়ে  বিয়ে করতে হবে তাকে।                                আর অন্যদিকে পর্দার বিধান যেহেতু আছে, তাহলে সে কিভাবে পর্দা লঙ্ঘন করে কোন মহিলার প্রেমে আসক্ত হবে বা কোন মহিলা কোন পুরুষের প্রেমে আসক্ত হবে।

••মাঝে মাঝে কিছু মানুষ তাঁদের ধর্ম বা তাঁদের রুচি  বদলায় কিছুটা অসমাজিক প্রনীদের মতো। কারণ মানুষের চোখ কান ও অন্তর হলো নিয়ম বদলানোর এক সূত্র।

 পৃথিবীতে যখন মানুষ হয়ে জন্মেছি অবশ্যই যৌন চাহিদা থাকবেই, কিন্তু এই যৌন চাহিদা মিটানোর জন্য কারো ক্ষতির কারণ হয়ে নিজের চরিত্র নষ্ট করা যাবে না, যৌনতার স্বভাবটা আসে মানবীয় স্বভাব থেকে, আর ভদ্রতার জন্ম চরিত্র থেকে।  তাই জনতার চাহিদা সবার কাছেই আস্তে পারে বা আসে কিন্তু তখন ভদ্রতাকে নষ্ট করা যাবে না, নিজের চরিত্রটাকে তখন হেফাজত করতে হবে নিজেকেই।

আর আল্লাহ তাঁয়ালা তাই আমাদেরকে একটা নিয়মের মধ্য দিয়ে পরিচালিত করার নির্দেশ দিয়েছেন, যদি হঠাৎ করে  আমাদেরকে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেওয়া হতো, তাহলে আমরা অন্য প্রাণীদের মত হয়ে যেতাম, পৃথিবীতে এতো প্রানীর এতো স্বভাব জানা সত্ত্বেও তাঁদের সাথে অন্যেরকম হয়ে নিজের সম্মান নিজেরা রক্ষা করার গুরুত্ব  বুঝতো না, বুঝতো না নিজেকে পবিত্র রাখার আনন্দটা কতটা। তাই আল্লাহ তাঁয়ালা আমাদেরকে একটা নির্দিষ্ট নিয়মের তালিকা করে তারপর পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আর ভদ্রতা হলো মানুষের মর্যাদা বৃদ্ধির একমাত্র উপায়, হাজারটা যোগ্যতা থাকলে যদি মানুষের মধ্যে ভদ্রতা না থাকে তাহলে তার বাকি যোগ্যতা গুলোরও কোন দাম থাকে না।

আর আল্লাহ তাঁয়ালা বলেছেন :-নিশ্চই আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি এবং তাদেরকে অনেক সৃষ্ট বস্তুর উপর শ্রেষ্ঠত্বদান করেছি।

তাই মানুষ চাইলেই সে অন্যান্য প্রাণীদের মত আচরণ করতে পারবে না, সে পারবে না তার কোন প্রতিবেশীর ক্ষতি করতে, যে ক্ষতিটা সে নিজের বেলায় সহ্য করতে পারে না সে সেটা অন্যের বেলায় কিভাবে করবেন! সেজন্যই মানুষকে বলা হয় সমাজিক প্রাণী।

মনগড়া চলাফেরা মানুষের জন্য আসেনি। দুনিয়া মুসলমানদের জন্য চিরস্থায়ী থাকার জায়গা না, আর দুনিয়ায় মুসলমান শান্তি মতো থাকতেও পারবেনা কারণ মন মত চলতে পারাটাই শান্তি, মাঝে মাঝে মানুষ মনে করে থাকে, কিন্তু এমন চিন্তা হলেও মানুষ তার মন মত চলতে পারবে না।

**এটা মনে রেখখা উচিত যে মানুষকে তার সকল কাজের জন্য আল্লাহ তাঁয়ালার বিচার এর সম্মুখীন হতে হবে, কেউ তার বিচার থেকে  কেয়ামতের দিন রেহায় পাবেনা।

গুনাহ করার আনন্দ খনিকের( কিছুক্ষণ পর সেই আনন্দ মিটে যায় ) কিন্তু গুনাহের অনুশোচনা মানুষ কে সারা সারাজীবন তাড়িয়ে নিয়ে বাড়ায়,আর গুনাহের অনন্দ ও কিছু করতে চাওয়া ত্যাগ জিনিস গুলার আনন্দ  চিরদিনের অর্থাৎ কখনো কিছু করতে ইচ্ছা করেছে কিন্তু করেননি এ সময়টা খারাপ লাগলো পরে যখন আপনি চিন্তা করবেন তখন আপনার খুব ভালো লাগবে, যদি সেই জিনিস থেকে আপনি বিরত থেকে নিজেকে সম্মানিত মনে করেন বা ভদ্র ভাবেন, আপনার চিন্তা আপনাকে আনন্দ দিবে, তখন নিজের চরিত্রের উপর নিজেকে আত্মবিশ্বাসী মনে হবে।

তাই সময় থাকতে নিজের আমলের ব্যাপারে সচেতন হোন। 

 মনে গুনাহ করার চিন্তা আসলেই আল্লাহর যিকির করা শুরু করে দিন আস্তাগফিরুল্লাহ, সুবহানাল্লাহ, আল্লহামদুল্লিলাহ, আল্লাহু আকবর । মানুষের মন একসাথে ২ জিনিস চিন্তা করতে পারে না। এতে আপনি গুনাহ থেকেও বাচবেন সাথে আল্লাহ যিকির করার সওয়াব ও পাবেন ইনশাআল্লাহ।


**চতুর্দিকে সব শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। কোনোদিকে চলার পথ নেই। 

ضاقت عليهم الارض بما ربحت و ضاقت عليهم أنفسهم 

~~যখন পৃথিবী বিস্তৃত হওয়া সত্ত্বেও তাদের জন্য সঙ্কুচিত হয়ে গেল এবং তাদের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠল।,,

~~নিশ্চয় তোমার প্রভুর পাকড়াও বড় কঠিন,,

~~তিনি-ই উত্তম পরিকল্পনাকারী,,

মহান আল্লাহ তায়ালা বুঝার তাওফিক দান করুন।

Comments