সদকা অর্থ কি? সদকা দেওয়ার ফলে আমাদের কি উপকার হতে পারে ও কাদেরকে দিবো এই সদকা।
২৪-৩-২০২৫,
সোমবার, ১২:১০
***সাদকাহ বা সদকাহ যাকে বলাতে যা বুঝানো হয়,
আরবি: صدقة,
উর্দু: صدقہ, "দানশীলতা",
বহুবচন আদাদকৃত صدقات)
••ইসলামি পরিভাষায় এর মাধ্যমে স্বেচ্ছা দানকে বোঝানো হয়, বা সদকাকে ‘বিনিময়ে কোন কিছু না চেয়ে একমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার আসায় কাউকে কিছু দেওয়া’ বোঝানো হয়েছে।
কুরআন অনুসারে, এই শব্দের অর্থ স্বেচ্ছাসেবী নৈবেদ্য।
*** সদকা প্রথমতো দুই প্রকার।
(১) সাধারণ সদকা
(২) সদকায়ে জারিয়া
••সাধারণ সদকা হলো অভাবীদের টাকা-পয়সা, কাপড়চোপড়, খাবারদাবার দান করা। বিপদগ্রস্তকে সাহায্য করা, পথ হারাকে পথ দেখিয়ে দেওয়া, অসুস্থের সেবা করা, মাজলুমকে সাহায্য করা ইত্যাদি। মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করা ও সাধারণ সদকার অন্তভুর্ক্ত।এমনকি স্বামী স্ত্রীর মুখে যে লোকমা তুলে দেই সেটাও সদকার অন্তরভুক্ত।
••সদকায়ে জারিয়া : এটা হলো যার কল্যাণ স্থায়ী হয় বা অনেক দীর্ঘ মিয়াদি হয়, এর সবের মধ্যে সর্বউত্তম হলো ইলমে দ্বীন শিক্ষা দেওয়া, সেটা হোক বই-পুস্তক রচনা করে, বা ওয়াজ-নসিহত করে অথবা যে কোনো মাধ্যমে মানবজাতির কাছে ইলমে দ্বীনকে পৌঁছে দেওয়া। মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা, মুসাফিরখানা, সরাইখানা, রাস্তা-ঘাট সেতু-পুকুর ইত্যাদি জনকল্যাণমূলক কাজে দান করা। নেক সন্তান পৃথিবীতে রেখে যাওয়া।
মানুষের মধ্যে গুনাহের প্রবণতা বা আশংকা অনেক বেশি আছে। আর মানুষ যখন গুনাহ করে আল্লাহ তাঁয়ালা তার ওপর রাগান্বিত হন। তখন তার ওপর বিপদ-আপদ আসে। আর তখন যদি কোনো ব্যক্তি দান- সদকা সেটা সে বুঝে করুক বা না বুঝে করুক আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ক্রোধ থেমে যায়,তখন তার উপর আশা বিপদ-আপদ দূর হয়ে জীবনের নানা সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
*** দান-সদকার বিশেষ কিছু ফজিলত , পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘যারা নিজের সম্পদ দিনে বা রাতে প্রকাশ্যে অথবা গোপনে আল্লাহর পথে খরচ করে তাদের পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের কাছে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই। তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’
-(সুরা বাকারা: ২৭৪)
আনাস ইবনু মালিক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, দান-খয়রাত আল্লাহ তাআলার অসন্তুষ্টি কমিয়ে দেয় এবং অপমানজনক মৃত্যু রোধ করে।
আমরা ছোট থেকেই এই গল্প শুনে আসছি আম্মুদের মুখে যে অমুকের খুব অসুখ ছিল ছদকা করে দেওয়ার পর সে সুস্থ হয়ে গেছে, বা কারো অনেক বিপদ ছিলো তখন সে ছদকা করছে আর সেই সদকার বিনিময়ে সে তার বিপদ থেকে মুক্তি পেয়েছে। হ্যাঁ ছদকা গোপনে করা উত্তম যেমন তার ডান হাতে কি দিয়েছে তা তার বাম হাতে না জানে, কিন্তু মাঝে মাঝে আমি মনে করি নিজের বাচ্চাদের সামনে বলা বা সদকার বিষয়ে কোনো আলোচনা করা যাতে করে তাদের অন্তরে ও আগ্রহ জাগে আত্মীয় বা প্রতিবেশীদেরকে সদকা দানের ব্যাপারে।
দান-সদকা ধনীদের সম্পদে গরিবের অধিকার। আল্লাহ বলেন, ‘এবং তাদের সম্পদে নির্দিষ্ট হক আছে। ভিক্ষুক এবং বঞ্চিত (অভাবী অথচ লজ্জায় কারো কাছে হাত পাতে না) সবার হক আছে।’
(সুরা : মাআরিজ, আয়াত : ২৪-২৫)
আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন, ‘তোমরা যদি প্রকাশ্যে দান করো ভালো। আর যদি গোপনে দান করো এবং অভাবগ্রস্তকে দাও তা তোমাদের জন্য অধিক ভালো। -(সুরা আল বাকারা: ২৭১)
আল্লাহ তাআলা অধিক পরিমাণে দানের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘আমার যে বান্দারা ঈমান এনেছে, তাদের বলে দিন— তারা যেন সালাত আদায় করে এবং আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে; এমন দিন আসার আগে— যখন কোনো ক্রয়-বিক্রয় কিংবা বন্ধুত্ব থাকবে না।’
(সুরা ইবরাহিম, হাদিস : ৩১)
আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘খেজুরের এক টুকরা দিয়ে হলেও (দান করে) নিজেকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও।’ (বুখারি, হাদিস : ৭৫১২)
কেননা যখন কিয়ামত সঙ্গটিত হবে তখন আর দুনিয়ার কোনো বন্ধুত্ব বা ক্রয়-বিক্রয় কোনো আমাদের কোনো কাজে আসবেনা, কোনো কিছুর মাধ্যমে নিজেকে আর মুক্ত করা সুযোগ আমাদের কাছে থাকবেনা,একমাত্র নিজের নেক আমল ছাড়া।
সেদিন সকলে আল্লাহর মেহেরবানি ও রহমতের আহ্বায়ক হবে। আর আল্লাহর রহমত হলেই কেবল বাঁচা যাবে।
আর সেই দিন রহমত পাবার অন্যতম মাধ্যম হবে আমাদের জন্য - দান-সদকা।
আর যদি অনেক বেশি সামর্থ্য নাও থাকে, তাহলেও চাইলে অল্প সদকা করে হলে ও আমরা সদকার সাওয়াব লাভ করতে পারি, যার সেটুকু সমার্থ আছে সে সেটা থেকে সদকা করবে, যার অনেকে বেশি সম্পদ আছে সে যেমন ছোযাব পাবে আপনি ও আপনার সমার্থ অনুযায়ী অল্প সদকার বিনিময়ে ও সওযাব পাবেন। উদাহরণ সরূপ আস্ত খেজুর দিতে না পারলে ও অর্ধেক দান করুণ তবুও দান করাটায় জরুরি।
*** সদকা ও দানের মাঝে কি কোনো পার্থক্য আছে? অনেকের মনে এই প্রশ্ন জাগে! তার উত্তর হলো:-
••দান এবং সদকা মূলত একই জিনিস।
আরবিতে সদকা আর বাংলায় দান।
'সদকা' -এর আক্ষরিক অর্থ 'ন্যায়পরায়ণতা' এবং দানকে বোঝায়।
••ইসলামী পরিভাষায়; সদকা দিয়ে তার ‘বিনিময়ে কোন কিছু না চেয়ে একমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার অভিপ্রায়ে কাউকে কিছু দেওয়াকে বোঝানো হয়েছে।
***সদকা করার দ্বারা কিছু উপকারীতা :--
•• আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন,
সদকা মূলত আল্লাহর নির্দেশ পালনের একটি অংশ। যারা আন্তরিকভাবে খাস নিয়তে সদকা করে, আল্লাহ তাঁয়ালা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং তাদের জন্য জান্নাতের ব্যবস্থা করেন।
কিন্তু বর্তমানে এমন ও দেখা যাই অনেকে আছে যারা নিজেদের যাকাত বা ফিতরা এমন ভাবে দান করে আবার সেটা পিক তুলে পুরা বিশ্বকে ও দেখানোর জন্য ইচ্ছা পোষণ করে যেটা মতে মোটেও ভালো না।
••কিয়ামতের দিনে বিশেষ ছায়া লাভ করা,
হাদিসে বলা হয়েছে, "সাত শ্রেণির মানুষ কিয়ামতের দিন আরশের ছায়ায় থাকবে, তার মধ্যে একজন হলো— যে ব্যক্তি এত গোপনে সদকা করে যে, তার বাম হাত জানে না, ডান হাত কী দান করল।
" (বুখারি, মুসলিম)
সদকা শুধু অর্থ দিয়ে নয়,মানুষের সাথে হাসিমুখে কথা বলা, ও কারোকে ভালো পরামর্শ দেওয়া, এবং রাস্তায় হাঁটার পথ যদি কোনো কাঁটা বা পাথর পড়া দেখি যার মাধ্যমে মানুষ কষ্ট পাওয়ার অসংজ্ঞা আছেন তাহলে সেটা রাস্তা থাকে সরিয়ে সরিয়ে দেওয়াও সদকার অন্তর্ভুক্ত।
তাই প্রতিদিন অল্প অল্প যাই পারি সদকা করার অভ্যাস গড়ে তোলবো ইনশাআল্লাহ।
••. সমাজে সমতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হয়,
অর্থাৎ সমাজ ও সমাজের ধনী-গরিবের মধ্যে একটা সুসম্পর্ক তৈরি হয় এবং দারিদ্র্তা দূর হয়, দানের দ্বারা একেওপরের প্রতি মায়া ও ভালোবাসা বৃদ্বি পাই, আত্মীয়দের মাঝে যারা ধনী দান করতে সক্ষম তারা যেনো দূরের মানুষদেরকে দানের আগের তার আপন মানুষদের প্রতি আগে খেয়াল রাখে।
আমি আমার কাজের সত্রে বা লিখা পডার কারণে আবাসিকে থাকা হয়েছে অনেক পরিবারের মেয়েদের সাথে চলা ফেরা হয়েছে, সে হিসেবে অনেক পরিবারগুলোকে খুব কাছ থেকেই দেখেছি যে তারা অনেক ধনী বা তারা তাদেরকে পরিবারের সকলের থাকেই গরিব।
অনেক ধনী পরিবারকে দেখেছি যে তাদের আত্মীয়দের কে সদকা বা দানের ক্ষেত্রে প্রধান্য দেয় আগে, আবার অনেক ধনী পরিবারকে দেখেছি যে তারা অনেক দান সদকার ক্ষেত্রে অনেক পরিবারকে সাহায্য করে কিন্তু নিকট আত্মীয় কথা মনে ও থাকে না। যারা তাদেরকে আত্মীয়দেরকে আগে প্রধান্য সেটা দেখে যেমন ভালোলাগে আবার যারা আগে প্রধান্য দেয় না সেটা দেখে খারাপ লাগে। তাই আল্লাহ আমাদের দানের হাতকে বড় করেন আর সকলকে সকদা করার সাথে যেনো নিজের আত্মীয়দেরা কথা মনের রাখার তোফিক দান করুণ।
••কিছু কিছু সদকা মৃত্যু পরবর্তীতে ও চলমান থাকে সেগুলো হলো সদকা জারিয়া। যেমন— মসজিদ নির্মাণ, কূপ খনন, শিক্ষা দান, গরিবদের জন্য ওয়াকফ করা ইত্যাদি। এগুলো আমরা মৃত্যুবরণ করার পরও এই সব বিষয় থেকে যারা উপকার হাসিল করবে তাদের উপকার হাসিল করার কারণে আমরা সাওয়াব পেয়ে থাকবো, মনে করেন আপনি একটা মসজিদ মাদ্রাসা নির্মাণ করেছেন এবং এর কিছু দিন পরে আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন, তাহলেও ওই মসজিদ বা মাদ্রাসায় যারা নামাজ পড়বে বা শিক্ষা অর্জন করার সুযোগ পাবে এই সকলের কাছ থেকেই আপনি সোয়াব পেতে থাকবেন, বা একটা পূর্ণর্মাণ করছেন ওখান থেকে মানুষ যতদিন পানি পান করবে ততদিন আপনার পেয়ে থাকবেন, এবারেই মৃত্যুর আগে আমরা পৃথিবীতে যা কিছু করে যাব মৃত্যুর পরও যদি ভালো কিছু করে যায় তাহলে সেটা সব পেতে থাকবো।
•• সদকা গুনাহ মোচন করে,
হাদিসে বলা হয়েছে, "নিশ্চয়ই সদকা গুনাহ মিটিয়ে দেয়, যেমনভাবে পানি আগুন নিভিয়ে দেয়।"
(তিরমিজি)
অতএব, সদকা গুনাহের কাফফারা হিসেবে কাজ করে।
•• সদকা করলে সম্পদে বরকত হয়,বা বৃদ্বি পাই,
অনেকে মনে করে, দান করলে সম্পদ কমে যায়, কিন্তু বাস্তবে তা বাড়ে।
"কুরআনে বলা হয়েছে:----
"যারা তাদের সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করে, আল্লাহ তাদের সম্পদ বহু গুণে বাড়িয়ে দেন।" (সূরা বাকারা ২:২৬১)
••বিপদ-আপদ ও রোগ-বালাই থেকে মুক্তি,
সদকা করা মানুষকে বিপদ-আপদ ও নানা ধরণের দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে।
হাদিসে এসেছে: "তোমরা রোগীদের চিকিৎসা করো সদকার মাধ্যমে।
" (বায়হাকি)
{""দান করলে যে বালা মুসিবত থেকে মুক্ত থাকা যায় সেরকম একটি ঘটনাকে স্বরুন করি চলেন,
এটা হযরত সোলায়মান (আ.)-এর যুগের একটি ঘটনা ছিলো,জনৈক এক ব্যক্তির বাড়ির পাশে ছিল একটি গাছ,সেই গাছে ছিল একটি পাখির বাসা,সেই বাসায় পাখিটি যখনই ডিম দিত তখনই ঐ লোকটি তা নিয়ে খেয়ে ফেলতো।
লোকটির এই অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে একদিন পাখিটি হযরত সোলায়মান (আ.)-এর কাছে অভিযোগ করল, সোলায়মান (আ.) লোকটিকে ডেকে নিষেধ করে বললেন, আর কোনো দিন যেন ঐই পাখির ডিম সে না খায়।
হযরত সোলায়মান( আ.)এর নিষেধ অমান্য করে লোকটি আবারো পাখির ডিম খেয়ে ফেলল।নিরুপায় হয়ে পাখিটি পুনরায় হযরত সোলায়মান (আ.)-এর কাছে অভিযোগ করল, সোলায়মান (আ.) এক জিনকে নির্দেশ দিলেন- লোকটি এবার যখন গাছে চড়বে, তখন খুব জোরে তাকে ধাক্কা দিয়ে যেন নিচে ফেলে দেয়, যাতে লোকটি আর কোনো দিন গাছে চড়তে না পারে,এর পর একদিন লোকটি পাখির ডিমের জন্য গাছে উঠতে যাবে, এমন সময় এক ভিক্ষুক এসে হাত দিল বাবা! কিছু ভিক্ষা দিন. তখন লোকটি প্রথমে ভিক্ষুককে এক মুষ্টি খাবার দান করল। তারপর শান্ত মনেগাছে উঠে আবারো ডিম নামিয়ে খেয়ে ফেলল।
পাখিটি আবার সোলায়মান (আ.)-এর কাছে অভিযোগ করল, সোলায়মান (আ.) সেই জিনকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি নির্দেশ পালন করলে না কেন? তখন জিন জবাব দিল, আমি আপনার নির্দেশ পালন করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম।
এমন সময় পূর্ব ও পশ্চিম থেকে দুজন ফেরেস্তা এসে আমাকে অনেক দূরে ফেলে দিল। সোলায়মান (আ.) বিস্মিত হয়ে এর কারণ জিজ্ঞেস করলেন, জিনটি বলল, আমি দেখলাম, লোকটি গাছে ওঠার আগে জনৈক ভিক্ষুককে এক মুষ্টি খাবার দান করল। সম্ভবত এর দানের বরকতে আল্লাহপাক তাকে আসন্ন বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন।
সোলায়মান (আ.) বললেন, হ্যাঁ সদকা বালা-মুসিবত দূর করে। এ কারণেই সে তখন মহাবিপদ থেকে বেঁচে গেছে।
( তাযকেরাতুল আম্বিয়া)।"}
••সদকার মাধ্যমে আত্মার প্রশান্তি ও অন্তরের কঠোরতা দূর হয়,
সদকা দিলে হৃদয়ে দয়া ও নম্রতা বৃদ্ধি পায়, যা আত্মিক উন্নতি সাধন করে।
***জাকাত–ফিতরা–সদকা যাদের দিতে হয় বা যাদের দেওয়া যায় না
জাকাত সম্পদের প্রবাহ তৈরি করে ও দারিদ্র্য বিমোচন করে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, 'মূলত সদকাত হলো ফকির, মিসকিন, জাকাত কর্মী, অনুরক্ত ব্যক্তি ও নওমুসলিম, ক্রীতদাস, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, আল্লাহর পথে (ইসলামের সুরক্ষার জন্য) ও বিপদগ্রস্ত বিদেশি মুসাফির ও পথসন্তানদের জন্য।
মাস চলতেছে আরো চলতেছে রমজানের শেষ দশক যে রাত্রে গুলোতে শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তাই প্রতিদিন নিজেদের অর্থ অনুযায়ী দান করা, যাতে যদি সেদিন শবে কদরের হয়, তাহলে আপনি আপনার দান কে অনেক গুণ বৃদ্ধি করে পাবেন।
সাথে দান করার আনন্দটাও উপভোগ করবেন হোক না সেটা ৫-১০ টাকা দিয়ে হলেও।
তাই এই কদরের রাত বা দিনগুলোতে অল্প অল্প সদকা করে হলেও শরিক হওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।আমাদের দানগুলো হে আল্লাহ কবুল করুন।
আমীন....
Comments
Post a Comment